ঘুম শরীরের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ঘুম শরীরের পাশাপাশি মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি সাধনেও সহযোগিতা করে। এমনকি শারীরিক নানা কার্যকলাপ সঠিক ভাবে পরিচালনা করতেও ঘুমের প্রয়োজন। চিকিৎসকদের মতে, বয়স, শারীরিক সক্রিয়তা এবং স্বাস্থ্যের ধরন অনুযায়ী সকলেরই ৭ থেকে ৯ ঘণ্টা ঘুম জরুরি। তবে ছুটির দিন বলে লম্বা ঘুমে রয়েছে স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতি।

ব্রিটেনের ‘ন্যাশনাল স্লিপিং ফাউন্ডেশন’ এক গবেষণায় উল্লেখ করেছে, ১৮ থেকে ৬৪ বছর বয়সী মানুষদের ৭ থেকে ৯ ঘণ্টা ঘুমই যথেষ্ট। কিন্তু যাঁদের ৯ ঘণ্টার বেশি ঘুমানোর অভ্যাস রয়েছে, তাঁদের রোগব্যধি হওয়ার আশঙ্কা অনেকটাই বেশি। এতে যেসব শারীরিক সমস্যা হতে পারে-

মানসিক অবসাদ
সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠলে শরীরে বা মনে তরতাজা ভাব কাজ করে। অতিরিক্ত ঘুমিয়ে বেলা করে উঠলে আলস্য লাগে, চনমনে ভাব থাকে না। কোনও কাজেই তেমন উৎসাহ পাওয়া যায় না।

প্রজনন ক্ষমতা কমে যাওয়া
বেশিক্ষণ ঘুমলে শারীরিক সক্রিয়তা অনেকটাই কমে যায়। ফলে মহিলা এবং পুরুষ উভয়েরই প্রজনন ক্ষমতায় প্রভাব পড়ে। শারীরিক ভাবে সক্ষম না থাকলে, প্রজননে সাহায্যকারী হরমোনগুলির ভারসাম্যও নষ্ট হয়।

ওজন বৃদ্ধি
বেশি ঘুমলে ওজন বৃদ্ধির আশঙ্কা একেবারেই উড়িয়ে দেওয়া যায় না। ওজন বেড়ে যাওয়ার সঙ্গে সম্পর্কিত সব রোগও বাড়তে থাকে ঘুমের সঙ্গেই।

হৃদ্‌যন্ত্রের সমস্যা
বেশি ঘুমলে দিনের অনেকটা সময় শুয়ে শুয়েই অতিবাহিত হয়ে যায়। শারীরিক সুস্থতা বজায় রাখতে যেটুকু শরীরচর্চা প্রয়োজন, রোজ সেইটুকু করতে না পারলে হার্টের সমস্যা হবেই। শুধু তা-ই নয়, হৃদ্‌যন্ত্রের সমস্যা বাড়াতে পারে রক্তের এমন সব গোলমাল ঘটাতে পারে ঘুমের পরিমাণ।

রক্তে শর্করার মাত্রা বৃদ্ধি
রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যাওয়া নির্ভর করে কোনও ব্যক্তি কেমন ভাবে জীবনযাপন করছেন, তার উপর। কারণ, তার সারা দিনের খাওয়াদাওয়া, কাজ, শরীরচর্চা এই সব কিছুর প্রভাব পড়ে ওই ব্যক্তির বিপাকহারের উপর। দিনের বেশির ভাগ সময়ে যদি ঘুমিয়েই কাটে, সে ক্ষেত্রে কোনও রুটিনই সঠিক ভাবে মেনে চলা যায় না।